Blog Details


ডাঃ মোঃ আসিফ ইকবাল

এম বি বি এস , পি জি টি (মেডিসিন) বি সি এস (স্বাস্থ )

Bluemount Hospital & Diagnostic PVT LTD

হার্ট ভালো রাখতে যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকতে হবে।

  • Posted on December 07, 2022

  • |
  • Published in

  • 02:12 PM

হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। যে কেউ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে অনিয়ম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এর লক্ষণগুলো জানা থাকলে একটি জীবন হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হার্ট অ্যাটাক। বলা হয় বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্যে দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ। 


2020 সালে প্রকাশিত WHO-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনারি হৃদরোগে মৃত্যুর সংখ্যা 108,528 বা মোট মৃত্যুর 15.16% এ পৌঁছেছে। বয়স-সামঞ্জস্যপূর্ণ মৃত্যুর হার প্রতি 100,000 জনসংখ্যার 94.27 বাংলাদেশ বিশ্বে 118 নম্বর স্থানে রয়েছে।

 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি 34 সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি কার্ডিওভাসকুলার রোগে মারা যায়। হৃদরোগ হল পুরুষ, মহিলা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ জাতিগত ও জাতিগত গোষ্ঠীর মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ৷


হৃৎপিণ্ড বা হার্ট আমাদের শরীরে রক্ত সরবরাহের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। কাজটি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে রক্তনালীর মাধ্যমে হার্টের নিজস্ব রক্ত সরবরাহও নিরবচ্ছিন্নভাবে বজায় থাকতে হয়।

কোনো কারণে হার্টের এই নিজস্ব রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে গেলে অথবা রক্তনালীর ভেতরে ব্লক বা বাধা সৃষ্টি হলে হার্টের রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এই অবস্থাকে হার্ট অ্যাটাক বলা হয়। হার্ট অ্যাটাককে মেডিকেলের ভাষায় মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন (এমআই) বলা হয়।

হার্ট অ্যাটাক একটি ইমারজেন্সি অবস্থা। আপনার অথবা আপনার আশেপাশের কারও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

হার্টে রক্ত সরবরাহ বন্ধ থাকলে সেটি হার্টের পেশীগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে রোগীর জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।


হৃদরোগে আক্রান্ত হলে বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে ব্যথা বা চাপের মতো অস্বস্তি হয়। এই অস্বস্তি কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হতে পারে, আবার চলেও যেতে পারে কিংবা পুনরায় ব্যথা অনুভব করতে পারেন। হতে পারে শ্বাসকষ্টও। অতিরিক্ত ঘাম হওয়াও হৃদরোগের আরেকটি লক্ষণ। এছাড়া আপনি খুব ক্লান্ত বা দুর্বল বোধও করতে পারেন। অনেকে আবার অজ্ঞান হয়ে যান। বুকে ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। বুক ছাড়াও এটি চোয়াল, পিঠ, ঘাড়, বাহু বা কাঁধেও হতে পারে।


হার্টঅ্যাটাকের উপসর্গ

▪︎ বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হওয়া। কখনো কখনো ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা হাতেও ব্যথা হতে পারে।

▪︎ বুকে ব্যথা এমনভাবে রোগীরা বর্ণনা করেন যেন কোনো ব্যান্ড বুকের ওপর চাপ দিয়ে আছে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা কখনো কখনো হার্টঅ্যাটাকে এ ধরনের ব্যথার কথা নাও বলতে পারেন।

▪︎ বুকের ব্যথার সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপসর্গ, যার দ্বারা বোঝা যায় হার্টঅ্যাটাকের প্রক্রিয়া চলছে।

ঝুঁকি সমূহ

▪︎ করোনারি ধমনীতে চর্বির আধিক্য
▪︎ ডায়াবেটিস মেলাইটাস
▪︎ উচ্চ রক্তচাপ
▪︎ ধূমপান
▪︎ শারীরিক ওজন বৃদ্ধি
▪︎ পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস
▪︎ কায়িক পরিশ্রমহীনতা
▪︎ স্ট্রেস
▪︎ মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি ইত্যাদি।

হার্টঅ্যাটাকের উপসর্গ

▪︎ বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হওয়া। কখনো কখনো ঘাড়, চোয়াল, পিঠ বা হাতেও ব্যথা হতে পারে।

▪︎ বুকে ব্যথা এমনভাবে রোগীরা বর্ণনা করেন যেন কোনো ব্যান্ড বুকের ওপর চাপ দিয়ে আছে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা কখনো কখনো হার্টঅ্যাটাকে এ ধরনের ব্যথার কথা নাও বলতে পারেন।

▪︎ বুকের ব্যথার সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাম হতে পারে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপসর্গ, যার দ্বারা বোঝা যায় হার্টঅ্যাটাকের প্রক্রিয়া চলছে।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে করণীয়

হৃদরোগ প্রতিরোধযোগ্য এবং হৃদরোগের প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেয়া সম্ভব শুধু নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের মাধ্যমে। যে কোনো ধরনের স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন। কর্ম জীবনের সব ব্যস্ততার মধ্যেও মানসিক প্রশান্তির কিছু উপায় বের করে নিতে হবে। পরিমিত কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করুন এবং কম চর্বিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন।

ধূমপান ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি। শুধু ধূমপান ত্যাগের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং নিয়মিত মনিটরিং করুন। রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখুন, বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত সজীবভাবে হাঁটার অভ্যাস করুন। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট প্রত্যহ হাঁটাহাঁটি করুন। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে দিন। এ জন্য বেশি করে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল গ্রহণ করুন। চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন।

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করার পাঁচটি প্রধান উপায় এখানে তুলে ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন ব্যক্তিও এই পাঁচটি উপদেশ মেনে চলার মাধ্যমে পুনরায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারবেন। উপায়গুলো হলো—

১. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে।

২. শরীরের ওজন বেশি হলে সেটি কমিয়ে ফেলতে হবে।

৩. নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের সপ্তাহে কমপক্ষে আড়াই ঘণ্টা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করা উচিত। প্রথমবারের মতো ব্যায়াম করা শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪. খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ কমিয়ে পূর্ণশস্য (যেমন: ঢেঁকিছাটা চাল বা লাল চাল ও লাল আটার রুটি) সহ ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে।

৫. মদপানের অভ্যাস থাকলে সেটি ছেড়ে দিতে হবে।


ভবিষ্যতে হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধে লিপিড প্রোফাইল নিম্নরূপ থাকা বাঞ্ছণীয় :

কোলেল্টেরল < ২০০ মিগ্রা/ডিএল
এলডিএল কোলেল্টেরল < ৭০ ডিএল
এইচডিএল < ৪০ ডিএল
ট্রাইগ্লিসেরাইড < ১৫০ ডিএল

উপরোক্ত কোলেল্টেরল মাত্রা অর্জন স্টাটিন ছাড়াও প্রয়োজন ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং প্রয়োজনে ওষুধের সঠিক ব্যবহারে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখা।

Releted Post

অসময়ে চুল পরা
  • February 28, 2023.
    12:02 PM
ALL ABOUT LOW OVARIAN RESERVE
  • February 13, 2023.
    01:02 PM
Fertility problem
  • February 05, 2023.
    12:02 PM
Best time to get pregnant
  • February 02, 2023.
    03:02 PM
Diabetes care unit
  • January 31, 2023.
    01:01 PM
TREATING BLOCKED FALLOPIAN…
  • January 26, 2023.
    12:01 PM
WHEN TO CALL LEUCORRHOEA…
  • January 19, 2023.
    02:01 PM
MODERN MEDICAL TECHNIQUES…
  • January 17, 2023.
    02:01 PM
IUI VS IVF: WHICH IS RIGHT…
  • January 13, 2023.
    12:01 PM
REDUCING THE RISK OF BREAST…
  • January 12, 2023.
    11:01 AM