Blog Details


মাশরুমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

  • Posted on December 07, 2022

  • |
  • Published in

  • 02:12 PM

মাশরুমে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার অতি প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপুর্ণ। মাশরুমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা দিক বিচার করলে সবার সেরা। এছাড়া যেসব খাদ্য উপাদানের আধিক্য যেমন -ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেড আমাদেরকে জটিল ব্যধীর দিকে নিয়ে যায়, তা মাশরুমে নেই বললেই চলে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব উপাদান ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধে ও ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজ আমরা জানব এই মাশরুমের পুষ্টিগুণ এবং বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

মাশরুমের কিছু ঔষধিগুণ

হালাল, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও উচ্চ খাদ্যশক্তি এবং ভেষজগুণে ভরপুর। এর মধ্যে ২৫-৩০% প্রোটিন আছে যা অত্যন্ত উন্নত ও নির্ভেজাল। এতে উপকারী শর্করা, চর্বি আছে। যে কারণে মাশরুম বিভিন্ন জটিল রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।

  • মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেলের এমন সমন্বয় আছে যা শরীরের ইমিউন সিষ্টেমকে (Immune System) উন্নত করে। নিয়োসিন ও অ্যাসকরবিক এসিড (Niacin and Ascorbic Acid) বা ভিটামিন সি’র প্রাচুর্য থাকায় মাশরুম স্কার্ভি (Scurvy), পেলেগ্রা (Pellegra) প্রভৃতি শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের রোগ প্রতিরোধে উপকারী।
  • বহুমুএ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের শর্করা ও ফ্যাট জাতীয় খাবার ক্ষতিকারক। ফ্যাট ও শর্করা কম এবং আঁশ বেশি থাকায় বহুমুত্র বা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মাশরুম বিশেষ উপকারী ও ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ খাবার। নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমিয়ে আনা সম্ভব।
  • নানা ধরনের চর্মরোগ নিরাময়ে মাশরুম বিশেষভাবে উপকারী। ঝিনুক মাশরুমের নির্যাস থেকে খুশকি প্রতিরোধী ঔষধ তৈরী করা হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ কমাতে মাশরুমে কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন (Eritadenin), লোভাষ্টটিন (Lovasatin), এনটাডেনিন (Antadenin), কিটিন (Kitine) এবং ভিটামিন বি,সি ও ডি থাকায় নিয়মিত মাশরুম খেলে উচ্চ রক্তচাপ (হাই ব্লাড প্রেসার) ও হৃদরোগ নিরাময় হয়।
  • মাশরুমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম (Calcium), ফসফরাস (Phosphorus) ও ভিটামিন ডি আছে। শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে এই উপাদানগুলো অত্যন্ত কার্যকরী।
  • মাশরুমের বেটা-ডি (Beta-D), ল্যামপট্রোল (Lampetrol), টারপিনয়েড (Turpinoid) ও বেনজো পাইরিন (Benzo Pyrene) আছে যা ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে। ফ্রান্সবাসীরা পর্যাপ্ত পরিমাণ মাশরুম খান বলে গত এক শতাব্দী ধরে ক্যান্সার রোগের প্রাদুর্ভাব কম বলে দাবি করা হয়। সম্প্রতি জাপানের জাতীয় ক্যান্সার ইনষ্টিটিউটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মাশরুমের ক্যান্সার প্রতিহত করার ক্ষমতা আছে।
  • মাশরুমে ট্রাইটারপিন (Triterpin) থাকাতে বর্তমানে এটি বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
  • মাশরুমে ইলুডিন এম ও এস (Eludin M & S) থাকাতে আমাশয়ে উপকারী।
  • মাশরুমে স্ফিংগলিপিড (Sphingolipid) এবং ভিটামিন-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড (Spinal Cord) সুস্থ্য রাখে। তাই মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন (hypertension) দূর হয় এবং মেরুদন্ড দৃঢ় থাকে।
  • মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আছে। এই প্রোটিন সহজপাচ্য, সুস্বাদু ও মুখরোচক। মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনজাইম (Enzyme) বিশেষতঃ ট্রিপসিন (Trypsin) এবং অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত জারকরস (Jerkros) আছে বলে মাশরুম খাদ্য পরিপাক ও হজমে সাহায্য করে, রুচি বর্ধক এবং পেটের পীড়া নিরামায়ক।
  • মাশরুমে নিউক্লিক এসিড (Nucleic Acid) ও এন্টি-এলার্জেন (Anti-Allergen) থাকায় এবং সোডিয়ামের (Sodium) পরিমাণ কম থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি রোগের প্রতিরোধক।
  • মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সালফার (Sulfur) সরবরাহকারী এমাইনো এসিড (Amino Acid) থাকায় এটা নিয়মিত খেলে চুল পড়া ও পাকা প্রতিরোধ করে।
  • মাশরুমের খনিজ লবণ চোখের দৃষ্টিশক্তি রক্ষার জন্যও সমাদৃত।
  • জন্ডিস প্রতিরোধে মাশরুম, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড (Folic Acid),লৌহ এবং লিংকজাই-৮ (Linkzai-8) নামক এমাইনো এসিড থাকায় হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসের প্রতিরোধক।
  • শরীরে এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে নিয়মিত মাশরুম খেলে তা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

মাশরুম খাওয়ার পদ্ধতি

মাশরুম যে কেবল খেতেই সুস্বাদু তাই নয়, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অনেক উপকারী। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাশরুম রাখা উচিত। তবে আবর্জনায় উৎপন্ন মাশরুম না খেয়ে শুধু চাষ করা মাশরুম খেতে হবে। এটি ভেজে, সুপ করে বা রান্না করে কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। কাঁচা বা  শুকনা মাশরুম ১৫ থেকে ২০ মিনিট ফুটানো গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে উক্ত পানি ফেলে দিতে হয়। মাশরুম ফ্রাই করে বা সবজির মতো রান্না করেও খাওয়া যায়।  এছাড়া তরকারি বা মাছ-মাংশের মধ্যে দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়।

আপনার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রাখুন মাশরুম। মাশরুমের উপস্থিতি আপনার খাদ্যতালিকাকে করবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ও আকর্ষনীয়।

Releted Post

MALE FERTILITY TESTING…
  • February 28, 2023.
    11:02 AM
What is Epilepsy?
  • February 05, 2023.
    03:02 PM
EATING TO FUEL FERTILITY
  • February 02, 2023.
    02:02 PM
IVF MYTHS AND FACTS YOU…
  • January 28, 2023.
    04:01 PM
FIBROIDS AND INFERTILITY
  • January 23, 2023.
    12:01 PM
EATING TO FUEL FERTILITY
  • January 23, 2023.
    12:01 PM
MALE FERTILITY TESTING…
  • January 19, 2023.
    02:01 PM
PELVIC CARE AFTER CHILDBIRTH
  • January 13, 2023.
    12:01 PM
SEXUAL HEALTH PROBLEMS…
  • January 12, 2023.
    11:01 AM